ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি ‘অভিযান’ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনায় আহত হয়ে অন্তত ৭০ জন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এমভি অভিযান লঞ্চটি গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠি সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে ইঞ্জিন রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে তা লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। রুহুল নামের এক যাত্রী জানান, রাত তিনটার দিকে ইঞ্জিন রুমে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে। মুহূর্তে লঞ্চে আগুন ধরে যায়।
লঞ্চের দোতলা ও তিনতলায় কেবিনের প্রবেশপথ লঞ্চ যাত্রা শুরুর পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয়।
নিচের যাত্রীরা নদীতে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচালেও কেবিনের যাত্রীরা বের হতে পারেননি। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঝালকাঠি বরিশাল থেকে ১৬টি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ছুটে আসে। তবে সকাল নটা পর্যন্ত লঞ্চে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি।
এদিকে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক বিল্লাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের নামপরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। আহতদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।